ঘাটাইলে কৃষকের বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে হলুদ সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে গেছে।

ঘাটাইলে কৃষকের বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে হলুদ সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে গেছে।

সৈয়দ মিঠুন ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

সরিষা ফুলের হলুদ চাদরে ঢাকা পড়েছে প্রকৃতির অপরুপ দৃশ্য ঘাটাইল উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের মাঠ জুড়ে সরিষা ফুলে ঢেকে গেছে। মাঠ জুড়ে এখন সরিষার হলুদ ফুলের চাঁদরে ঢেকে গেছে দিগন্ত বিস্তৃত প্রকৃতি।

প্রান্তর জুড়ে উঁকি দিচ্ছে শীতের শিশির ভেজা সরিষা ফুলের দোল খাওয়া গাছগুলো। সরিষার সবুজ গাছের হলুদ ফুল শীতের সোনাঝরা রোদে ঝিকিমিকি করছে। এ এক অপরুপ সৌন্দর্য। যেন প্রকৃতি কন্যা সেজেছে গায়ে হলুদ বরণ সাজে।

চারপাশের মাঠ জুড়ে সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত ফসলের মাঠ। উপজেলার মাঠে এখন শুধু সরিষা ফুলের হলুদ রঙের চোখ ধাঁ-ধাঁলো বর্ণীল সমরাহ।

মৌমাছির গুনগুন শব্দে ফুলের রেণু থেকে মধু সংগ্রহ করছে। আর প্রজাপতির এক ফুল থেকে আরেক ফুলে পদার্পন এ অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যিই যেন মনো মুগ্ধকর এক মূহুর্ত।

ভোরের বিন্দু বিন্দু শিশির আর সকালের মিষ্টি রোদ ছুঁয়ে যায় সেই ফুলগুলোকে। এখন শুধু ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

এই বিষয়ে কৃষি অফিসার দিলশাদ জাহান বলেন এদিকে চলতি রবিশস্য মৌসুমে কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ হানা না দেওয়ায় এবং সরিষা চাষের পরিবেশ অনুকূলে থাকায় সরিষার রয়েছে।

তবে গ্রামীণ জনপদের কৃষকরা এই সরিষা যথা সময়ে তুলতে পাড়লে এবং বিক্রয় মূল্য ভাল পেলে তাদের মুখে হা্সি ফুটে আসবে বলে মনে করেন তবে শুরুতেই সরিষা ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের আনাগোনা দেখা দিলেও মাঠ পর্যায়ে সরিষা চাষিদেরকে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে যথাযথ পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ কারিগরী সহযোগিতার কারণে সরিষা ক্ষেত অনেকটা রোগ-বালাই মুক্ত হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

যথা সময়ে সরকারী পর্যায় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে মান সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে কৃষকের মাঝে সরিষার বীজ সহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হলেও মাঠ পর্যায়ে বেশ কিছু জমি চাষের উপযুগী না হওয়ায় কিছু কৃষকরা ঠিক সময়ে সরিষা বপণ করতে পাড়েনি।

ফলে তারা অন্যান্য রবিশস্য চাষের দিকে ঝুকছেন তবে সরিসা চাষ করা হয়েছে এবার অনেক। তবে কৃষক সূত্রে জানা গেছে। । কৃষি অফিস থেকে কিছু বীজ পেলেও আমি নিজে বাঁকিটা কিনে জমিতে বপণ করেছি।

ফলে সরিষা গাছে প্রচুর পরিমান ফুল ধরায় মনে হচ্ছে এবার সরিষার আশানুরুপ ফলন পাব। যথা সময়ে জমি চাষ যোগ্য হওয়ায় এলাকার কৃষকরা সুযোগ বুঝে সরিষা চাষ করেছে।

কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।প্রাকৃতিক দূর্যোগে কোন প্রকার ক্ষতি না হলে সরিষা আবাদের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।

শুধু তাই নয় সরিষা চাষের জমিগুলো উব্বর্রতা বেশি থাকায় কৃষকরা সরিষা চাষেও এর সুফল পাবে

আপনি আরও পড়তে পারেন